gtag('config', 'G-H0D4LPN61P'); রমজান মাসে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ।

রমজান মাসে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ।

 রমজান মাসে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ।

আমরা যারা আসন্ন পবিত্র রমজানে উপনীত হতে যাচ্ছি আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। অন্তত তাদের তুলনায় যে মানুষগুলো গত রমজানে আমাদের সাথে ছিলেন। যে প্রিয় মুখগুলো আজ দেখতে পাই না। পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। 

হয়তো তাঁরা আক্ষেপ করেছেন, আহ! আরেকটি রমজান যদি ভাগ্যে জুটতো! কিন্তু আমরাও কি শঙ্কামুক্ত!? হয়তো আমরাও হয়ে যেতে পারি সেই মিছিলের একজন সদস্য। কারণ মৃত্যু কারো নিকট বলে আসে না।

বস্তুত পবিত্র রমজান মাস মহান আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে অসীম রহমত, বরকত ও নাজাতের বার্তাবাহী এক অমূল্য নিয়ামত । আল্লাহর ইবাদত-আনুগত্য ও তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে তাঁর ভলোবাসা ও সান্নিধ্য লাভ করার এক বিশেষ মৌসুম।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা এই নিয়ামতের যথাযথ কদর ও মূল্যায়ন করি না বা করতে জানি না। 

তাই দেখা যায়, রমজান বিদায় নেওয়ার পর আমরা আক্ষেপ করে বলে থাকি- কোন্ ফাঁকে রমজান মাস চলে গেল, আমি হতভাগী কিছুই তো করতে পারলাম না!

তাই আসুন,

প্রিয় দ্বীনি ভাইও বোনেরা!!! 

পবিত্র রমজান মাসকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য আমরা কিছু বিষয় পালন করি আর কিছু বিষয় বর্জন করি।

পালনীয় বিষয়সমূহঃ 

১) সময়ের যথাযথ মূল্যায়ন করি। শুধু মিনিট নয়,প্রতিটি সেকেন্ড গুলী কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। সেই সাথে জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড নেক ও ভালো কাজে ব্যায় করতে অভ্যস্ত হই।

২) নামাযের প্রতি যত্নবান হই। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও তারাবীর নামাজ সহ প্রতিটি নামাজ খুশু - খুযু ও একনিষ্ঠতার সাথে আদায় করি।

৩) তাহাজ্জুদ নামাযের ইহতিমাম করি। অন্য মাসে যাদের এ আমল করার ভাগ্যে জুটেনি। তাঁরা এ রমজান মাসের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া না করি। কমপক্ষে দু রাকাআত হলেও আদায় করি।

৪) যাদের সারা বছর যে সকল নফল নামাজ আদায়ের সুযোগ হয় না, যেমন- সালাতুত দুহা বা ইশরাক-চাশত ও মাগরিবের পরের নফল /আওয়াবিন, সালাতুত তাসবিহ ইত্যাদি, অন্তত রমযান মাসে আদায় করার চেষ্টা করি।

৫) অত্যন্ত আদব ও মহব্বতের সাথে বেশী বেশী কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করি।

কেননা এটা কুরআন নাযিল এর মাস।

৬) অপ্রয়োজনীয় সফর পরিহার করি। একান্ত কোথাও সফর করতেই হলে, জবানকে সর্বদা যিকির দ্বারা চালু রাখি।

৭) দানের হাত সম্প্রসারিত করি। মুক্ত হস্তে কিছু না কিছু দান করি যদিও পরিমাণে অল্প হয়।

৮) পরিমিত আহার করি। এত পরিমাণ নয় যে, ইবাদত এ বিঘ্ন সৃষ্টি করে।

বর্জনীয় বিষয়সমূহঃ

১) অশালীন কথা, গালিগালাজ, মিথ্যা কথা, গিবত সহ সর্বপ্রকার গোনাহের কথা ও কাজ পরিহার করি, সেই সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকি।

২) যথাসম্ভব মানুষের সাথে মেলামেশা কম করি। যাতে করে বেশী বেশী ইবাদত করতে পারি।

৩) মোবাইলে কথা সংক্ষিপ্ত বলি। চাই তা আপনজনের সাথেই হোক না কেন।

৪) এই মাসের জন্য ফেসবুকিং/চ্যাটিং ইত্যাদি যথাসম্ভব পরিহার করি।

৫) যেসব কাজ/ প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠান এ মাসে না করে বাঁচা যায়, তা স্থগিত করে দেওয়াই ভালো।

৬) অযথা মার্কেটে গিয়ে ঘুরাঘুরি না করি।

হে আল্লাহ ! আমাদের সকলকে উক্ত বিষয় গুলোর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন, আমীন।

Clt

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu