উত্তর : ওযরবশতঃ যমযম পানি দাঁড়িয়ে পান করা জায়েয। আর উক্ত পানি সহ যেকোন পানাহার বসে করাই সুন্নাত। হাদীছে দাঁড়িয়ে পান করার ব্যাপারে কঠোর ধমকি এসেছে (মুসলিম হা/২০২৪; মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭)।
যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দাঁড়িয়ে পানকারী ব্যক্তি যদি জানতো এতে কি ক্ষতি রয়েছে, তাহ’লে সে তা বমি করে দিত’
(আহমাদ হা/৭৭৯৫-৯৬; ছহীহাহ হা/১৭৬)।
তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিদায় হজ্জের সময় (ভিড়ের মধ্যে) যমযমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪২৬৮)
এবং আলী (রাঃ) কূফার মসজিদের আঙিনায় ওযূ করার পর অতিরিক্ত পানি দাঁড়িয়ে পান করেন ও বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে দেখেছি
(বুখারী হা/৫৬১৬; মিশকাত হা/৪২৬৯)
মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলি সম্পর্কে ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে পান করা যে জায়েয, সেটা বুঝানোর জন্যই রাসূল (ছাঃ) এরূপ করেছেন (ফাৎহুল বারী হা/২৬১৫-১৬-এর আলোচনা)।
ইমাম নববীও একই মন্তব্য করেছেন (শরহ নববী হা/২০২৭-এর আলোচনা)।
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, দাঁড়িয়ে পান থেকে বিরত থাকাই সঠিক। তবে ওযরবশতঃ জায়েয (যাদুল মা‘আদ ১/১৪৩-৪৪)।
ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, হজ্জের সময় ভিড়ের কারণে বসার সুযোগ না থাকায় তিনি দাঁড়িয়ে পান করেছিলেন এবং এটাই ছিল তাঁর শেষ আমল
(মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/২১০)।
মোদ্দাকথা যেকোন খানা-পিনা বসে করাই শরী‘আতের নির্দেশনা এবং এটাই সর্বোত্তম
(ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২২/১৩৩)।
অতএব যমযম পানিও বসে পান করা যাবে (আলবানী, অডিও টেপ নং ৫)।
🖼️ মাসিক আত তাহরীক নভেম্বর ২০১৬
0 মন্তব্যসমূহ