gtag('config', 'G-H0D4LPN61P'); কারা দাজ্জালের অনুসরণ করবে? এবং দাজ্জালকে কে হত্যা করবে?

কারা দাজ্জালের অনুসরণ করবে? এবং দাজ্জালকে কে হত্যা করবে?

কারা দাজ্জালের অনুসরণ করবে? এবং দাজ্জালকে কে হত্যা করবে?

দাজ্জালের অধিকাংশ অনুসারী হবে ইহুদী, তুর্কী এবং অনারব লোক। তাদের অধিকাংশই হবে গ্রাম্য মূর্খ এবং মহিলা।

 ইহুদীরা মিথ্যুক কানা দাজ্জালের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী দাজ্জাল হবে তাদের বাদশা। তার নেতৃত্বে তারা বিশ্ব পরিচালনা করবে। নবী সাঃ বলেন, দাজ্জালের অধিকাংশ অনুসারী হবে ইহুদী এবং মহিলা। (মুসনাদে আহমদ)

তিনি আরো বলেন,

ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻣﻨﺼﻮﺭ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﺰﺍﺣﻢ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﺣﻤﺰﺓ ﻋﻦ ﺍﻷﻭﺯﺍﻋﻲ ﻋﻦ ﺇﺳﺤﺎﻕ ﺑﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﻋﻦ ﻋﻤﻪ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻳﺘﺒﻊ ﺍﻟﺪﺟﺎﻝ ﻣﻦ ﻳﻬﻮﺩ ﺃﺻﺒﻬﺎﻥ ﺳﺒﻌﻮﻥ ﺃﻟﻔﺎ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺍﻟﻄﻴﺎﻟﺴﺔ

অর্থ, ইসহাক ইবনে আব্দুল্লাহ বর্ণনা করেন, আমি আনাস ইবনে মালেককে বলতে শুনেছি, “ইস্ফাহানের সত্তর হাজার ইহুদী দাজ্জালের অনুসারী হবে। তাদের গায়ে সবুজ বর্ণের চাদর (বা জুব্বা) থাকবে”।

(সহিহ মুসলিম: ৪/২২৬৬ হাদীস নং ২৯৯৪)

আরো বলেন।

ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻧﺼﺮ ﺑﻦ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺠﻬﻀﻤﻲ ﻭﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺑﺸﺮ ﻭﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﺜﻨﻰ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺭﻭﺡ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺩﺓ . ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻋﺮﻭﺑﺔ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺍﻟﺘﻴﺎﺡ ﻋﻦ ﺍﻟﻤﻐﻴﺮﺓ ﺑﻦ ﺳﺒﻴﻊ ﻋﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺍﺑﻦ ﺣﺮﻳﺚ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺑﻜﺮ ﺍﻟﺼﺪﻳﻖ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺍﻟﺪﺟﺎﻝ ﻳﺨﺮﺝ ﻣﻦ ﺃﺭﺽ ﺑﺎﻟﻤﺸﺮﻕ ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻬﻀﺎ ﺧﺮﺍﺳﺎﻥ . ﻳﺘﺒﻌﻪ ﺃﻗﻮﺍﻡ ﻛﺄﻥ ﻭﺟﻮﻫﻬﻢ ﺍﻟﻤﺠﺎﻥ ﺍﻟﻤﻄﺮﻗﺔ

অর্থ, হযরত আমর ইবনে হুরাইছ হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“দাজ্জাল পৃথিবীর এমন একটি অঞ্চল থেকে আত্মপ্রকাশ করবে, যেটি প্রাচ্যে অবস্থিত এবং যাকে খোরাসান বলা হয়। তার সঙ্গে অনেক দল মানুষ থাকবে। তাদের একটি দলের লোকদের চেহারা স্ফীত ঢালের মতো হবে”।

(ইবনে মাযা: ২/১৩৫২ হাদীস নং ৪০৭২, জামে তিরমিযী: ৪/৫০৯ হাদীস নং ২২৩৭ )

উল্লিখিত হাদীস থেকে এ কথা জানা যায় যে, দাজ্জালের অনুসারী হবে ইহুদী, তুর্কী এবং অনারব লোক। তাদের অধিকাংশই হবে গ্রাম্য মূর্খ এবং মহিলা। ইহুদীরা মিথ্যুক কানা দাজ্জালের বেশি অনুসারী হবে।

গ্রাম্য অশিক্ষিত লোকেরা মূর্খতার কারণে এবং দাজ্জালের পরিচয় সম্পর্কে তাদের জ্ঞান না থাকার কারণে দাজ্জালের অলৌকিক ক্ষমতা দেখে তারা ফিতনায় পড়বে। মহিলাদের ব্যাপারটিও অনুরূপ। তারা সহজেই যে কোন জিনিষ দেখে প্রভাবিত হয়ে থাকে।

আল্লাহ সবাইকে হেফাজত কর। আমীন।

দাজ্জাল পৃথিবীতে কত দিন থাকবে?

মুসলিম শরীফের লম্বা হাদীসে আছে, রাসূলকে সাঃ তার সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করল, দাজ্জাল দুনিয়াতে কত দিন থাকবে?

তখন রাসূল সাঃ বলেন,

ﻗﻠﻨﺎ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻣﺎ ﻟﺒﺜﻪ ﻓﻲ ﺍﻷﺭﺽ ؟ ﻗﺎﻝ ﺃﺭﺑﻌﻮﻥ ﻳﻮﻣﺎ ﻳﻮﻡ ﻛﺴﻨﺔ ﻭﻳﻮﻡ ﻛﺸﻬﺮ ﻭﻳﻮﻡ ﻛﺠﻤﻌﺔ ﻭﺳﺎﺋﺮ ﺃﻳﺎﻣﻪ ﻛﺄﻳﺎﻣﻜﻢ ﻗﻠﻨﺎ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺬﻟﻚ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻟﺬﻱ ﻛﺴﻨﺔ ﺃﺗﻜﻔﻴﻨﺎ ﻓﻴﻪ ﺻﻼﺓ ﻳﻮﻡ ؟ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺍﻗﺪﺭﻭﺍ ﻟﻪ ﻗﺪﺭﻩ

অর্থ, রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞেস করেছেন দাজ্জাল পৃথিবীতে কত দিন অবস্থান করবে? উত্তরে তিনি বলেছেনঃ সে চল্লিশ দিন অবস্থান করবে। প্রথম দিনটি হবে এক বছরের মত লম্বা। দ্বিতীয় দিনটি হবে এক মাসের মত। তৃতীয় দিনটি হবে এক সপ্তাহের মত। আর বাকী দিনগুলো দুনিয়ার স্বাভাবিক দিনের মতই হবে। আমরা বললামঃ যে দিনটি এক বছরের মত দীর্ঘ হবে সে দিন কি এক দিনের নামাযই যথেষ্ট হবে? উত্তরে তিনি বললেন, না; বরং তোমরা অনুমান করে সময় নির্ধারণ করে নামায পড়বে।

(ছহীহ মুসলিম শরীফ: ৪/২২৫০ হাদীস নং ২৯৩৭, ইবনে মাযা: ২/১৩৫৬ হাদীস নং ৪০৭৫, সুনানে আবু দাউদ: ৪/১৭৭ হাদীস নং ৪৩২১)

এ ধরনের হাদীস অসংখ্য হাদীসের কিতাবে বর্ণিত আছে।

হাদীস থেকে এ কথা বুঝা যায় যে, দাজ্জাল দুনিয়াতে চল্লিশ দিন অবস্থান করবে। প্রথম দিনটি হবে এক বছরের মত লম্বা। দ্বিতীয় দিনটি হবে এক মাসের মত। তৃতীয় দিনটি হবে এক সপ্তাহের মত। আর বাকী দিনগুলো দুনিয়ার স্বাভাবিক দিনের মতই হবে।

দাজ্জালকে কে হত্যা করবে?

সহীহ হাদীছের বিবরণ অনুযায়ী ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) -এর হাতে দাজ্জাল নিহত হবে।

মক্কা-মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর সকল দেশেই সে প্রবেশ করবে। তার অনুসারীর সংখ্যা হবে প্রচুর। সমগ্র দুনিয়ায় তার ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে। সামান্য সংখ্যক মুমিনই তার ফিতনা থেকে রেহাই পাবে। ঠিক সে সময় দামেস্ক শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এক মসজিদের সাদা মিনারের উপর ঈসা আঃ আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। মুসলমানগণ তার পার্শ্বে একত্রিত হবে। তাদেরকে সাথে নিয়ে তিনি দাজ্জালের দিকে রওনা দিবেন। দাজ্জাল সে সময় বায়তুল মাকদিসের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। অতঃপর ঈসা আঃ ফিলিস্তীনের লুদ্দ শহরের গেইটে দাজ্জালকে পাকড়াও করবেন। সেখানে তাকে হত্যা করা হবে।

হাদীসে আছে, রাসূল সাঃ বলেন।আবু দাউদের লম্বা হাদীসের শেষাংশ ।

ﺛُﻢَّ ﻳَﻨْﺰِﻝُ ﻋِﻴﺴَﻰ ﺍﺑْﻦُ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟْﻤَﻨَﺎﺭَﺓِ ﺍﻟْﺒَﻴْﻀَﺎﺀِ ﺷَﺮْﻗِﻲَّ ﺩِﻣَﺸْﻖَ، ﻓَﻴُﺪْﺭِﻛُﻪُ ﻋِﻨْﺪَ ﺑَﺎﺏِ ﻟُﺪٍّ، ﻓَﻴَﻘْﺘُﻠُﻪُ

অর্থ, অতঃপর ঈসা আঃ দামেস্ক শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এক মসজিদের সাদা মিনারের উপর আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। অতঃপর ঈসা আঃ ফিলিস্তীনের লুদ্দ শহরের গেইটে দাজ্জালকে পাকড়াও করবেন। সেখানে তাকে হত্যা করা হবে।

(সুনানে আবু দাউদ: ৪/১৭৭ হাদীস নং ৪৩২১, ছহীহ মুসলিম শরীফ: ৪/২২৫০ হাদীস নং ২৯৩৭, )

তিরমিযী শরীফের হাদীসে আছে। রাসূল সাঃ বলেন।

ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻗﺘﻴﺒﺔ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻟﻠﻴﺚ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻫﺸﺎﺏ ﺃﻧﻪ ﺳﻤﻊ ﻋﺒﻴﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺛﻌﻠﺔ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭﻱ ﻳﺤﺪﺙ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭﻱ ﻣﻦ ﺑﻴﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﻋﻮﻑ ﻱ ﺳﻤﻌﺖ ﻋﻤﻲ ﻣﺠﻤﻊ ﺑﻦ ﺟﺎﺭﻳﺔ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭﻱ ﻳﻘﻮﻝ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺗﺎﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻳﻘﺘﻞ ﺍﺑﻦ ﻣﺮﻳﻢ ﺍﻟﺪﺟﺎﺏ ﺑﺒﺎﺏ ﻟﺪ

অর্থ, রাসূল সাঃ বলেন, মরীয়মের ছেলে (ঈসা আঃ) দাজ্জালকে লুদ শহরের গেইটে হত্যা করবে।

(জামে তিরমিযী: ৪/৫১৫, হাদীস নং ২২৪৪, মসনদে আহমদ: ২৯/১৭২ হাদীস নং ১৭৬২৯)

একই ধরনের হাদীস নুয়াঈম ইবনে হাম্মাদ রহঃ তার আল ফিতান নামক কিতাবেও বর্ণনা করেছেন।

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻧُﻌَﻴْﻢٌ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺿَﻤْﺮَﺓُ، ﻋَﻦْ ﻳَﺤْﻴَﻰ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺍﻟﺴَّﻴْﺒَﺎﻧِﻲِّ، ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﺤَﻀْﺮَﻣِﻲِّ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺃُﻣَﺎﻣَﺔَ ﺍﻟْﺒَﺎﻫِﻠِﻲِّ، ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ‏« ﻳُﺪْﺭِﻙُ ﻋِﻴﺴَﻰ ﺍﺑْﻦُ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﺍﻟﺪَّﺟَّﺎﻝَ ﺑَﻌْﺪَ ﻣَﺎ ﻳَﻬْﺮُﺏُ ﻣِﻨْﻪُ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻧُﺰُﻭﻟُﻪُ ﻓَﻴُﺪْﺭِﻛُﻪُ ﻋِﻨْﺪَ ﺑَﺎﺏِ ﻟُﺪٍّ ﺍﻟﺸَّﺮْﻗِﻲِّ ﻓَﻴَﻘْﺘُﻠُﻪُ »

( আল ফিতান লিল নুয়াঈম ইবনে হাম্মাদ: ২/৫৫৯, হাদীস নং ১৫৬২)

উল্লিখিত হাদীস সমুহ থেকে জানা যায় যে, যখন দাজ্জালের ফিতনা বেড়ে যাবে ঠিক তখন ঈসা আঃ ফিলিস্তীনের লুদ্দ শহরের গেইটে দাজ্জালকে পাকড়াও করবেন। সেখানে তাকে হত্যা করা হবে।

মুসলমানেরা ঈসা আঃ-এর নেতৃত্বে ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।

দাজ্জালকে হত্যা করার পর মুসলমানেরা ঈসা আঃ-এর নেতৃত্বে ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। মুসলমানদের হাতে দাজ্জালের বাহিনী ইহুদীর দল পরাজিত হবে। তারা কোথাও পালাবার স্থান পাবেনা। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবেঃ হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবেঃ হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর।

এ প্রসংঙ্গে রাসূল সাঃ বলেন।

( ٢٩٢٢ ‏) ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻗُﺘَﻴْﺒَﺔُ ﺑْﻦُ ﺳَﻌِﻴﺪٍ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻳَﻌْﻘُﻮﺏُ ﻳَﻌْﻨِﻲ ﺍﺑْﻦَ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ، ﻋَﻦْ ﺳُﻬَﻴْﻞٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ” ﻟَﺎ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺣَﺘَّﻰ ﻳُﻘَﺎﺗِﻞَ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩَ، ﻓَﻴَﻘْﺘُﻠُﻬُﻢُ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺨْﺘَﺒِﺊَ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩِﻱُّ ﻣِﻦْ ﻭَﺭَﺍﺀِ ﺍﻟْﺤَﺠَﺮِ ﻭَﺍﻟﺸَّﺠَﺮِ، ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺍﻟْﺤَﺠَﺮُ ﺃَﻭِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮُ : ﻳَﺎ ﻣُﺴْﻠِﻢُ ﻳَﺎ ﻋَﺒْﺪَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻫَﺬَﺍ ﻳَﻬُﻮﺩِﻱٌّ ﺧَﻠْﻔِﻲ، ﻓَﺘَﻌَﺎﻝَ ﻓَﺎﻗْﺘُﻠْﻪُ، ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻐَﺮْﻗَﺪَ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣِﻦْ ﺷَﺠَﺮِ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩِ ”

অর্থ, হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা যতক্ষণ না মুসলমানেরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে। অতঃপর মুসলমানগণ ইহুদীরকে হত্যা করবে। ইহুদীরা গাছ ও পাথরের আড়ালে পালাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু কেউ তাদেরকে আশ্রয় দিবেনা। গাছ বা পাথর বলবেঃ হে মুসলমান! হে আল্লাহর বান্দা! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা করো। তবে ‘গারকাদ’ নামক গাছের পিছনে লুকালে গারকাদ গাছ কোন কথা বলবেনা। এটি ইহুদীদের গাছ বলে পরিচিত।

ছহীহ মুসলিম শরীফ: ৪/২২৩৯ , আল মুজামুল আওসাত, ৪/২৪৬ হাদীস নং ৪০৯৯ )

উল্লিখিত হাদীস থেকে প্রমানীত হয় যে, দাজ্জালকে হত্যা করার পর মুসলমানেরা ঈসা আঃ-এর নেতৃত্বে ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। মুসলমানদের হাতে দাজ্জালের বাহিনী ইহুদীর দল পরাজিত হবে। এমন কি তারা গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবেঃ হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবেঃ হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর।

আজকের আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, দাজ্জাল পৃথিবীতে ৪০ দিন থাকবে। এবং ঈসা আঃ তাকে লুদ শহরের গেইটে হত্যা করবে। এবং তার পরে মুসলমানেরা ঈসা আঃ-এর নেতৃত্বে ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। মুসলমানদের হাতে দাজ্জালের বাহিনী ইহুদীর দল পরাজিত হবে।

©️


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu