gtag('config', 'G-H0D4LPN61P'); ইসলাম কেনো শান্তির ধর্ম? কি আছে এই ধর্মে যে একে শান্তির ধর্ম বলে?

ইসলাম কেনো শান্তির ধর্ম? কি আছে এই ধর্মে যে একে শান্তির ধর্ম বলে?

প্রশ্ন হচ্ছে যে ইসলাম কেনো শান্তির ধর্ম?

পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আছেন,

প্রত্যেকের ধর্ম কিন্তু এক না,প্রশ্ন হলো পৃথিবীতে এতোগুলো ধর্ম থাকতে শুধু ইসলামই কেনো শান্তির ধর্ম! 


আসুন জেনে নেই,

আপনি যখন একজন হিন্দুর সাথে কথা বলতে যাবেন,হিন্দুরা আপনাকে নমস্কার দেবে,যখন বৌদ্ধদের সাথে কথা বলতে যাবেন বৌদ্ধরা বলবে নমস্কার , 

নমস্কার শব্দের অর্থ হলো (আমি আপনার কাছে মাথা নত করলাম,)

নাউজুবিল্লাহ আমরা মুসলিমরা আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথা নত করিনা,


বরং আমরা যখন মানুষের সাথে কথা বলতে যাই প্রথমেই আগে সালাম দেই, আর সালাম শব্দের অর্থ হলো শান্তি, এবং আসসালামু আলাইকুম শব্দের অর্থ হলো (আপনার উপর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক,)


আলহামদুলিল্লাহ এটাই হলো মুসলিম, মুসলিমরা প্রেক্টিক্যাল ভাবে শান্তির ধর্ম পালন করে,

যদিও সব ধর্মই শান্তির কথা বলে,কিন্তু সেটা প্রেক্টিক্যালি দেখা যায়না,


অবশ্য এই বিষয়ে আমি একটা লেখাও লিখেছি, নিচে সেটার লিংক দেওয়া হবে পড়ে দেখবেন,


আমর মুসলিমরা যখন নামাজ পড়ি,ধনী গরীব সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে নামাজ পড়ি,মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ আমরা ভুলে যাই,ভেদাভেদ ভুলে আমরা আপন রবের ইবাদত করি, 

আহ, কি শান্তি,জানেন! একজন নও মুসলিমকে যখন আপনি প্রশ্ন করবেন ইসলানের কোন বিষয়টি আপনাকে অধিক শান্তি দেয়?

বাজি রেখে বলতে পারি,ওই নও মুসলিম ভাই আপনাকে জবাব দেবে-নিশ্চয়ই নামাজ অধিক শান্তি দেয়,


ধনী গরীব ভুলে যাই যখন আমরা নামাজের কাতারে দাড়াই,ধনী গরীবের পিছে,গরীব ধনীর পিছে নামাজ পড়ি,


আলহামদুলিল্লাহ এর চেয়ে শান্তির ইবাদত আর কোন ধর্মে আছে?

হলক করে বলতে পারি,অন্যান্য ধর্মের কোন ইবাদতই মনের শান্তি দিতে পারেনা,


আপনি হিন্দুদের দিকে তাকান,হিন্দুরা সামান্য মুড়ি খাওয়ার সময়ও আলাদা বাটিতে করে খায়,

আর আমরা মুসলিমরা ভাত খেলেও এক সাথে বসে এক প্লেটে করে খাই,হোক তিনি পরিচিত বা অপরিচিত, তাতে কিছু আসে যায়না,আমরা বিনা সংকোচে সবাই এক সাথে খাবার খাই,যাতে নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়,মহব্বত সৃষ্টি হয়,নিজেদের মধ্যে বন্ধন অটুট হয়,


ভাই আমার,

আর কি রকম শান্তি চান? ইসলাম যে রকম শান্তির কথা বলে তা অন্য কোন ধর্মই বলেনা,


আজ ইসলামের আদর্শে মুগ্ধ হয়ে হাজার হাজার অমুসলিম, ইসলাম গ্রহন করছেন,


কিন্তু কেনো? কি প্রয়োজন ছিলো ইসলাম গ্রহন করার?

ইসলাম গ্রহন করা ছাড়া চলতে- পারতোনা?


হ্যাঁ পারতো, কিন্তু ইসলামের মতো শান্তি কোন ধর্মেই পেতোনা,


ভাই আমার,

মনের শান্তি অনেক বড়ো একটা নেয়ামত, যার মনের শান্তি নেই সে কখনই সুখি হতে পারেনা,আপনিও কি চাননা সুখ পেতে? আপনিও কি শান্তি পেতে চাননা,?

তবে কেনো এখনও গাফেল হয়ে আছেন? আপনি কি আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে চাননা?


ইসলাম এমন একটা ধর্ম যাতে রয়েছে মানব জাতীর জন্য পূর্ণ জীবন বিধান,কিন্তু আমরা অধিকাংশই তা বুঝিনা,

ইসলাম মানুষের সাথে ভালো ব্যবহারের আদেশ দেয়,

ইসলাম নিজে না খেয়ে কৃতদাশকে খাওয়ানোর শিক্ষা দেয়,

ইসলাম প্রতিবেশীর সাথে ভালো আচরনের আদেশ দেয়,

ইসলাম মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়,


কোন মুসলিম নিজে নিজে পেট ভরে খেলো,কিন্তু তার মুসলিম ভাইয়ের কোন খোজ রাখলোনা,তাকে প্রকৃত মুসলিম বলা যাবেনা,

প্রকৃত মুসলিম তো সেই,যে তার প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচরণ করে,


এক কথায় পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হলো ইসলাম 

ভাই আমার, 

আপনি কি চান না এই শান্তির ধর্ম গ্রহন করতে?


ভাই আমার,

কিসের এতো সংশয় আপনার মনে? আপনার কি ইচ্ছে করেনা আপন প্রভুকে একটি বার সেজদা করবেন?


ভাই আমার, 

আপনার কি ইচ্ছা করেনা আপন প্রভুর আনুগত্য করবেন?

তাহলে কেনো এখনও গাফেল হয়ে আছেন?

এখনও কি সময় হয়নি প্রভুর কাছে ফিরে আসার?

তাহলে আর কবে হবে সেই সময়?কখন ফিরে আসবেন প্রভুর কাছে?


ভাই আমার, 

আপনার মনে জিহাদ নিয়ে হয়তো সংশয় আছে,

ভাই আমার,

জিহাদ মোটেও খারাপ কিছু নয়,একটা কথা জেনে রাখুন ইসলামের তরবারি কোন নিরপরাধ কে আঘাত করার জন্য নয়, 

ভাই আমার,

জিহাদ হলো ফরজ ইবাদত, জিহাদ তখনই ফরজ হয় যখন বিশ্বের বুকে আমার মুসলিম ভাইয়েরা নির্যাতিত হয়,আমার মুসলিম ভাইয়েরা মাঝলুম হয়, 

তখনই জিহাদ ফরজ, ইসলাম কোন নিরাপরাদ কে মারতে বলেনা, 


ভাই আমার,

ইসলাম তখনই অস্ত্রধারণ করতে বলে, যখন মুসলিমরা নিপীড়িত হয়,

আপনি অন্যান্য ধর্ম দেখুন,বিশেষ করে হিন্দু ধর্ম, গীতার পুরো আটারো অধ্যায়ে শুধুই জিহাদের কথা বলা হয়েছে,

কিন্তু সেটা ছিলো ধর্ম যুদ্ধ,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের যুদ্ধ,অধিকার আদায়ের যুদ্ধ,

ঠিক তেমনই ইসলাম সত্যের জন্য যুদ্ধ করতে বলে,নিপীড়িত মুসলিম ভাইয়ের অধিকার আদায় করার জন্য যুদ্ধ করতে বলে,


ভাই আমার, 

জিহাদ মোটেও সন্ত্রাস নয়,জিহাদ হলো আত্নরক্ষা,অন্যায়ের প্রতিবাদ,


ভাই আমার একমাত্র ইসলাম ধর্মই পূর্ণাঙ্গ ধর্ম, আর কোন ধর্মই পূর্ণাঙ্গ জীবিনের সমাধান দেয়না,


আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেছেন--


إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلٰمُ ۗ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتٰبَ إِلَّا مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِئَايٰتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ

নিশ্চয় আল্লাহর নিকট দীন হচ্ছে ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের নিকট জ্ঞান আসার পরই তারা মতানৈক্য করেছে, পরস্পর বিদ্বেষবশত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে, নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত,[[সুরা আলে ইমরান আয়াত ১৯]]


وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلٰمِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِى الْءَاخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِينَ


[[আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন চায় তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।সুরা আলে ইমরান আয়াত ৮৫]]


★--


الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلٰمَ دِينًا ۚ


আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দীন হিসাবে মনোনীত করলাম। [[সুরা মায়েদাহ আয়াত ৩]]


আল্লাহ বলে দিয়েছেন, এইটা একমাত্র গ্রহনযোগ্য ধর্ম, এইটা ছাড়া যদি কেউ অন্য ধর্ম গ্রহন করার ইচ্ছা করে তবে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে,

এবং আল্লাহ আমাদের জন্য ইসলাম কে পরিপূর্ণ করেছেন,এবং ইসলাম কে আমাদের জন্য পছন্দ করেছেন,


ভাই আমার,

তাহলে কিসের এতো সংশয়? এখনও কি সত্যের আহ্বানে সারা দেওয়ার সময় আসেনি,?

এখনও কি আপন রবের দিকে ফিরে আসার সময় হয়নি?

তাহলে কেনো এতো দেড়ি?আসুন উত্তম আদর্শে নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি,


আশা করি আমার কথা গুলো বুঝতে পেরেছেন,আল্লাহ বোঝার তাওফিক দিন,,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu