gtag('config', 'G-H0D4LPN61P'); অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম?

 :- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

 অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম বিস্তারিত আলোচনা? 

 উঃ- প্রিয় ভাই, আপনি জানতে চেয়েছেন আফিলিয়েইট মার্কেটিং সম্পর্কে ইসলামের বক্তব্য কী? আপনার প্রশ্নের উত্তর প্রদানের পূর্বে ভূমিকা স্বরূপ আমরা আফিলিয়েইট মার্কেটিংয়ের নানা দিক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করার চেষ্টা করব ইনশা্আল্লাহ।

আফিলিয়েইট মার্কেটিং কী?

আফিলিয়েইট মার্কেটিংকে অনেকে এ্যাসোসিয়েট মার্কেটিং, অনেকে রেফারেল মার্কেটিং বলে থাকেন। (Affiliate Marketing, Associate Marketing, Referral Marketing). বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে এই প্রকার মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এই মার্কেটিংয়ের সারমর্ম হচ্ছে SOPS বা Selling Other People’s Stuff. (অন্যের পণ্য বিক্রয় করা) এ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা সিইও জেফ বেজস প্রথম এই মার্কেটিংয়ের ধারণা দেন। পরে অনলাইন এই মার্কেটিংটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

এই মার্কেটিংয়ে তিনটি পক্ষ কাজ করে।

১. কাস্টমার বা ক্রেতা
২. আফিলিয়েইট সাইট
৩. বিক্রেতার সাইট

আফিলিয়েইট তার সাইটে বিক্রেতার সাইট বা পণ্যের লিংক প্রদান করে থাকে। ক্রেতা বা কাস্টমার সেই লিংকে ক্লিক করে সহজেই বিক্রেতার সাইটে চলে যায় এবং পণ্য ক্রয় করে। বিনিময়ে বিক্রেতা আফিলিয়েইট সাইটকে শতকরা কিছু টাকা বা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা (কমিশন) প্রদান করে।

একটু বাজে শোনালেও বাঙালী হিসেবে পুরো ব্যাপারটাকে ‘দালাল’ শব্দে ব্যাখ্যা করলেই বোধহয় অনেকের জন্য বুঝতে সহজ হয়। (আসলে বাংলা দালাল শব্দটি আরবি দাল্লাল বা دلال থেকে উদ্ভুত। যার অর্থ, যে অন্য কাউকে কোনো পথ দেখায়। যেহেতু দালাল অন্যের পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর পথ দেখিয়ে দেয়, তাই তাকে দালাল বলে। কাজেই শব্দটিকে ঘৃণা করার কোনো কারণ নেই। )

উদাহরণস্বরূপ ইকবাল একটি পণ্য বিক্রয় করবে। তার সাইটে পণ্যের বিস্তারিত তথ্য দেয়া আছে। কিন্তু তার সাইটের ঠিকানা সবার জানা নাও থাকতে পারে। তাই সে কমিশনের ভিত্তিতে শাকের (আফিলিয়েইট, মিডল ম্যান, মধ্যসত্ত্বভোগী, দালাল) এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তিটা এরকম : শাকের তার ব্যক্তিগত সাইটে ইকবালের সাইটের লিংক দিবে। এতে শাকের এর সাইটের ভিজিটর এই লিংকে ক্লিক করে ইকবালের সাইট থেকে পণ্য কিনবে। বিনিময়ে ইকবাল তাকে পণ্যের মূলের একটা অংশ (শতকরা দশ ভাগ) কিংবা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা (প্রতি পণ্যে ১০০ টাকা) প্রদান করবে।

আফিলিয়েইট মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে?

অনেক প্রতিষ্ঠান/সাইট সরাসরি তাদের এ্যাফিলেয়ট হওয়ার সুযোগ দেয়। তাদের সাইটে নিবন্ধন করলে তারা একটি রেফারেল কোড সম্বলিত লিংক দেয়। ঐ লিংকে দুটো বিষয় থাকে।

১. আফিলিয়েইটের সনাক্তকরণ নম্বর
২. তাদের সাইটের ইউআরএল বা ঠিকানা

এই লিংকটি আফিলিয়েইট তার সাইটে রাখেন। কোনো ভিজিটর যখন এতে ক্লিক করে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাইটে যান এবং কোনো পণ্য ক্রয় করেন তখন এর বিনিময়ে ঐ আফিলিয়েইটকে পে করা হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে, বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কীভাবে জানেন যে কোন আফিলিয়েইটের মাধ্যমে কোন ক্রেতা তাদের সাইটে এসেছেন এবং পণ্য ক্রয় করেছেন?

আসলে এটা তেমন কোনো প্রশ্নই না। ক্রেতা যখন আফিলিয়েইটের সাইট থেকে বিক্রেতার লিংকে ক্লিক করেন, তখন তার কম্পিউটারে একটি কুকি পাঠানো হয়, যা ব্রাউজার সংরক্ষণ করে। এবং পরে এই ক্রেতা যখন বিক্রেতার সাইটে গিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করেন, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রেতাটি ঐ আফিলিয়েইটের নামে লিস্ট হয়। পুরো ব্যাপারটাই অটোমেটিক এবং স্বচ্ছ।

অনেক প্রতিষ্ঠান অবশ্য নিজেরা আফিলিয়েইট হওয়ার সুযোগ দেয় না। তারা তৃতীয় পক্ষের কাছে আফিলিয়েইট নিয়োগের কার্যক্রম ছেড়ে দেয়। তখন এখানে ক্রেতা আর বিক্রেতার মাঝে আফিলিয়েইট ছাড়া তৃতীয় একটি পক্ষ মধ্যসত্ত্বভোগী হয়ে থাকে।

এদের সাইটে নিবন্ধন করলেও একটি রেফারেল লিংক পাওয়া যায়। যা আফিলিয়েইট তার সাইটে রাখেন। ঐ লিংকে তিনটি বিষয় থাকে :

১. আফিলিয়েইটের সনাক্তকরণ নম্বর
২. বিক্রেতা সনাক্তকরণ নম্বর
৩. বিক্রেতার সাইটের ঠিকানা

যেহেতু এসব প্রতিষ্ঠান একাধিক বিক্রেতার আফিলিয়েইট নিয়োগ দেয়, তাই একেক বিক্রতার সাইটের জন্য তারা ভিন্ন লিংক সরবরাহ করে।

উল্লেখ্য যে, কিছু সাইট তাদের আফিলিয়েইট হওয়ার জন্য নিবন্ধন মূল্য নিয়ে থাকে, আবার কিছু সাইটে বিনামূল্যে নিবন্ধন করা যায়।

আফিলিয়েইট তার সাইটে কীভাবে লিংক দেন?

আফিলিয়েইট তার সাইটে বিভিন্ন ভাবে বিক্রেতার সাইটের লিংক দিতে পারেন। যেমন,

১. টেক্সট বা লিখিত লিংক। এটা সাইডবারে হতে পারে, আবার আর্টিকেলের মাঝেও হতে পারে।
২. ব্যানার লিংক : ছবিসম্বলিত ব্যানার লিংক হতে পারে।
৩. সার্চ বক্স : একটি সার্চ বক্সও লিংক হিসেবে কাজ করতে পারে।

বিক্রেতার লিংকগুলো কেমন হয়?

লিংকগুলো বিক্রেতার ওয়েবসাইটের প্রথম পাতার হতে পারে। আবার হতে পারে কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের বা অনেকগুলো পণ্যের পাতা। বা বিক্রেতার সাইটে রেজিস্ট্রেশনের পাতাও হতে পারে।

বিক্রেতাগণ কীভাবে পে করেন?

বিক্রেতাদের পেমেন্ট মেথড বা টাকা পরিশোধের মাধ্যম একেক রকম হতে পারে। এটা আফিলিয়েইট যখন কোনো সাইটে নিবন্ধন করবেন, তখনই তিনি বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

মোটামুটি ভাবে তাদের পেমেন্ট মেথড নিম্নোক্ত উপায়ে হয়ে থাকে :

১. Pay-per-sale : বা বিক্রয় প্রতি কমিশন। অর্থাৎ আফিলিয়েইটের মাধ্যমে কোনো ভিজিটর বিক্রেতার সাইটে গিয়ে কোনো পণ্য কিনলেই কেবল আফিলিয়েইট কমিশন পাবেন। অন্যথায় কিছুই পাবেন না। এই কমিশন বিক্রয়মূল্যের একটি নির্দিষ্ট পার্সেন্ট হতে পারে আবার পণ্য প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও হতে পারে।

২. Pay-per-click : বা ক্লিক প্রতি কমিশন। অর্থাৎ আফিলিয়েইটের সাইটে প্রদত্ত লিংকে যতবার কোনো ভিজিটর ক্লিক করবেন, তার উপর ভিত্তি করে কমিশন প্রদান করা হবে। বিক্রেতার সাইট থেকে কোনো পণ্য না কিনলেও এ কমিশন দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কেউ প্রতি ক্লিকেই কমিশন দেন। আবার কেউ একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লিকের ওপর কমিশন দেন। যেমন, ১০০ ক্লিকে ৫ টাকা।

৩. Pay-per-lead : এটা সাধারণত Network Marketing এর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। অর্থাৎ আফিলিয়েইটের লিংকে ক্লিক করে ভিজিটর যদি বিক্রেতার সাইটে গিয়ে নেটওয়ার্কের লিড হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করেন, তাহলে তিনি একটা নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন।

এ ছাড়া আরো দুই ভাবে পে করতে দেখা যায়।

১. Two-tier programs (MLM) : এ ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের ন্যায় পরবর্তী নিবন্ধিত সদস্যদের থেকেও কমিশন পাওয়া যায়। যেমন, একজন আফিলিয়েইটের মাধ্যমে একজন ক্রেতা একটি বিক্রেতার সাইটে নিবন্ধন করল। তার মাধ্যমে আরো দুইজন নিবন্ধন করল। তার মাধ্যমে আরো দুইজন। এভাবে প্রতি সদস্যের নিবন্ধনের বিনিময়ে প্রথম আফিলিয়েইট কমিশন পাবেন।

২. Residual programs (recurring money) : এ ক্ষেত্রে আফিলিয়েইটের লিংকের মাধ্যমে আগত ক্রেতা যতদিন বিক্রেতাকে সার্ভিসের জন্য পে করবেন, ততদিন আফিলিয়েইট কমিশন পাবেন। যেমন কেউ একজন আফিলিয়েইটের লিংক থেকে এক বিক্রেতার সাইটে গেল। সেখানে সে একটি মাসিক সার্ভিসের জন্য সাব্সক্রাইব করল। যাতে তাকে প্রতি মাসে পে করতে হয়। এখন সে যতবার পে করবে ততবার আফিলিয়েইট কমিশন পাবেন।

এ ছাড়া আরেকটি পুরনো পদ্ধতি রয়েছে। তা হলো :

Pay per impression বা Pay per view : এই পদ্ধতিতে আফিলিয়েইটের সাইটে রাখা এ্যাড বা লিংক যতবার একজন ভিজিটর দেখবেন, ততবার তাকে পে করা হবে। ক্লিক বা পণ্য ক্রয় না করলেও।

এ পর্যন্ত যা বলা হলো তা হলো পেমেন্ট হিসেব করার উপায়। পেমেন্ট আফিলিয়েইটের একাউন্টে পৌঁছানোর উপায় হলো চেক, পেপাল, ডিরেক্ট ডিপোজিট ইত্যাদি। কেউ কেউ এক মাস পর পর টাকা দেন, কেউ দুই সপ্তাহ পর পর পে করেন।

আফিলিয়েইট মার্কেটিংয়ের বিধান কী?

আফিলিয়েইট মার্কেটিংয়ের বিধান বর্ণনা করতে মূলত এর চুক্তির ধরণ দেখতে হবে। পূর্বের আলোচনায় আমরা দেখিয়েছি যে বিক্রেতাগণ মোটামুটি কয়েক ধরনের চুক্তিতে গিয়ে থাকে। আসুন সেগুলোর বিধান আলোচনা করি।

১. Pay per sale : বা বিক্রয় প্রতি কমিশন। এ ধরনের চুক্তিতে যদি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং জড়িত না থাকে, তাহলে নাজায়েজ হওয়ার কোনো কারণ আপাত দৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আফিলিয়েইট সিমসার বা দালাল বলে পরিগণিত হবে যা জায়েজ। তবে এক্ষেত্রে, বরং সব ক্ষেত্রেই অবশ্য লক্ষণীয় হলো, যে পণ্যের মার্কেটিং করা হচ্ছে তা যেন শরীয়তের দৃষ্টিতে হালাল হয়। কেননা তা যদি হালাল না হয়, তাহলে তা যেমন বিক্রয় করা হারাম, তেমনি তার মার্কেটিং বা প্রচার করাও হারাম হবে।

২. Pay per click : বা ক্লিক প্রতি কমিশন। এর বিধান একটু আলোচনা সাপেক্ষ।

ক. যদি সাইটের মালিক নিজে অন্য সাইটের লিংক বা এ্যাড প্রদর্শন করেন তাহলে pay per sale এর ন্যায় এটিও সিমসারা বা দালালী হবে, যা জায়েজ।

খ. পক্ষান্তরে সাইটের মালিক যদি তার সাইটের কোনো জায়গা কোনো বিক্রেতাকে ভাড়া দেন Pay per click হিসেবে, তাহলে তা ইজারা বলে গণ্য হবে। কিন্তু ভাড়া অনির্দিষ্ট থাকায় এই ইজারা বা ভাড়া চুক্তি ফাসিদ বা নষ্ট বলে গণ্য হবে। কাজেই এই চুক্তি জায়েজ হবে না।

সাইটের নির্দিষ্ট জায়গা শরীয়ত সম্মত উপায়ে ভাড়া দেয়ার উপায় হচ্ছে দৈনিক, মাসিক বা বাৎসরিক নির্দিষ্ট হারে ভাড়া দেয়া। কারণ ইজারা বা ভাড়া চুক্তির জন্য ভাড়া নির্দিষ্ট হওয়া আবশ্যিক শর্ত।

৩. Pay-per-lead এবং Two-tier programs (MLM) : এই দুই পদ্ধতিতেই যেহেতু নেটওয়ার্ক মার্কেটিং জড়িত, যার অধিকাংশ পদ্ধতিকেই ফকীহগণ নাজায়েজ বলেছেন, তাই এ পদ্ধিতর আফিলিয়েইট মার্কেটিংকেও জায়েজ বলার কোনো উপায় দেখছি না।

(উল্লেখ্য, নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের অধিকাংশ পদ্ধতিতে ধোঁকা, প্রতারণা, জুয়া, সুদ ইত্যাদি নানা কারণ বিদ্যমান থাকায় অতীত ও বর্তমানের প্রায় সব ফকীহ একে নাজায়েজ বলেছেন।)

৪. Residual programs (recurring money program) : এ পদ্ধতিতে টাকা আয়ের বিধানটা এখনো সুস্পষ্ট নয়। তবে কার্যত নেটওয়ার্ক মার্কেটিংকে নাজায়েজ বলার দুয়েকটি কারণ এখানেও পাওয়া যাচ্ছে। যেমন, الاجرة بلا عمل ইত্যাদি। অবশ্য নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত একে সন্দেহযুক্ত চুক্তির তালিকায় রাখতেই বেশি পছন্দ করব।

৫. Pay per impression বা Pay per view : এর বিধানের জন্য এই আলোচনার ২ এর খ দ্রষ্টব্য।

৬. Sign up money : কিছু আফিলিয়েইট প্রোগ্রামে নিবন্ধন করতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। এরপর একজনের রেফারেলে আরো মানুষ সাইন আপ বা নিবন্ধন করলে তাদের সাইন আপ মূল্য থেকে প্রথম আফিলিয়েইটকে কমিশন দেয়া হয়। এভাবে এসব সাইটে কোনো পণ্য কেনা বেঁচা উদ্দেশ্য নয়। বরং রেফারেলের মাধ্যমে কমিশন প্রদান করা হয়। ফকীহগণের দৃষ্টিতে এরকম প্রোগ্রামে টাকার বিনিময়ে টাকা প্রদান করা হয়। ফলে সুদ বা সুদের সন্দেহ সৃষ্টি হয়। আর তা নাজায়েজ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : আফিলিয়েইট মার্কেটিংয়ের যেসব প্রকারকে জায়েজ বলা হয়েছে সেগুলো তখনই জায়েজ হবে, যখন পণ্যটি শরীয়তসম্মত বা হালাল হবে। যদি হালাল না হয়, তাহলে কোনো অবস্থায়ই এর মার্কেটিং জায়েজ নেই। যেমন মদ, শুকর, পর্ণো ইত্যাদির মার্কেটিং কখনো জায়েজ হবে না।

শেষকথা :

একজন মুসলমান হিসেবে হালাল হারামের বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা উচিৎ। এমনকি সন্দেহযুক্ত কারবার থেকেও বেঁচে থাকা উচিৎ। কেননা হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী সন্দেহযুক্ত কারবার মানুষকে হারাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

আর যারা জেনে বা জেনে পূর্বে কোনো হারাম কারবারে লিপ্ত ছিলেন, তাদের উচিৎ হলো এখনি তাওবা করে ভবিষ্যতে এসব কারবার থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। আশা করা যায়, আল্লাহ অতীতের গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি বলেন,

فَمَن جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ

অতঃপর যার কাছে তার পালনর্কতার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, র্পূবে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। (২:২৭৫)

আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu